মেনু নির্বাচন করুন

স্কুল পরিচিতি

স্কুল পরিচিতি:

ব্রাইটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ  বিভাগীয় শহর রংপুরে একটি ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যুগোপযোগী ও সহজ পাঠদান পদ্ধতি, অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী, সুপরিসর ক্লাস রুম এবং দক্ষ কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু পরিচালনায় স্কুলটি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

“ব্রাইটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ’’’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষার ধারা সৃষ্টির প্রতিশ্রæতি নিয়ে। আমাদের দেশের গতানুগতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণিকক্ষে যেখানে অসংখ্য শিক্ষার্থীর ভিড় সেখানে এ স্কুলে প্রতিটি শাখায় আছে সীমিত আসন। পুরাতন যুগের চক/ব্লাক বোর্ডের পরিবর্তে হোয়াইট বোর্ড ও মার্কার ব্যবহার এবং যুগোপযোগী শিক্ষা উপকরণের মাধ্যমে পাঠদান। এ কারণে বিষয় শিক্ষকগণ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর যথাযথ  তত্ত্বাবধান  নিশ্চিত করতে পারেন। ভর্তিকৃত  শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও বিকশিত করে তুলতে ব্রাইটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শিক্ষার মাধ্যম:

শিখন-শেখানো এ দুটো প্রক্রিয়ার জন্য শিক্ষার মাধ্যম অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বায়নের যুগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীর গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাতৃভাষায় পাঠদানের পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। এদিক বিচেনা করেই ব্রাইটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মাধ্যম বাংলা হওয়া সত্ত্বেও  ইংরেজির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পাঠদান পদ্ধতি:

নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রদত্ত কোর্সসমূহ নির্দিষ্ট সময়ে সুচারুরূপে সম্পন্ন করার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যোগ্যতা প্রমাণের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্রাইটন স্কুল অ্যান্ড কলেজে রয়েছে একটি আদর্শ, নির্ভরযোগ্য ও পরীক্ষিত পাঠদান পদ্ধতি। এ পাঠদান পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য নিম্নে সংক্ষেপে বর্ণিত হলো:

ক) ক্লাসসমূহ বিন্যাস: অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার শিক্ষাবর্ষের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। শিক্ষকগণ পুরো কোর্স, C.T, M.T, Assingment ও অধ-বার্ষিক/ষান্মসিক পরীক্ষা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সম্যক ধারণা লাভে সহায়তা করেন।

খ) শিক্ষকের পাঠদান: দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিষয় শিক্ষক শ্রেণিতে পাঠদান করে থাকেন।

১) নির্দিষ্ট সময়ে কোর্স সুচারুরূপে সম্পন্ন করা।

২) প্রত্যেক শিক্ষার্থী পুরো কোর্সটি সম্যকভাবে যাতে উপলদ্ধি করতে পারে তা নিশ্চিত হওয়া। এ লক্ষ্যে শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য ও সারকথা (সিনোপসিস) সরবরাহ  করেন। শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে ক্লাসে একটি নির্দিষ্ট সময় প্রশ্নোত্তরের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

 অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার:

ভর্তির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রদান করা হবে। অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা (M.T, অর্ধ-বার্ষিক/ষান্মাসিক, নির্বাচনী ও বার্ষিক পরীক্ষা  ইত্যাদি) খাতা প্রদান, ফলাফলের ঘোষণা তারিখ, শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম (Co-Curricular Activies) ছুটি, ইত্যাদি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

ডায়েরি ব্যবহার:

শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার মান, নৈতিক চরিত্র, আচার-আচরণ ও উপস্থিতি সম্পর্কিত নানা তথ্য ডায়েরির মাধ্যমে অভিভাবককে প্রতিদিন অবহিত করা হয়। ফলে অভিভাবক তার সন্তানের অবস্থা সম্পর্কে সর্বদা অবগত থাকতে পারেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। ডায়েরিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জ্ঞাতব্য বিষয় আছে যা ভালভাবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পড়তে ও জানতে হবে এবং স্বাক্ষর করতে হবে। ডায়েরিতে অভিভাবককে প্রতিদিন স্বাক্ষর করতে হবে। এ স্বাক্ষর দেখে শিক্ষক নিশ্চিত হবেন যে, শিক্ষার্থীর সঠিক অবস্থা সম্পর্কে অভিভাবক অবগত আছেন। শিক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য প্রতিদিন শ্রেণি/বিষয় শিক্ষক ডায়েরিতে স্বাক্ষর করবেন। এক কথায় ডায়েরি হলো শ্রেণি/বিষয় শিক্ষকের সঙ্গে অভিভাবকের সেতুবন্ধন।